৩২,০০০ পদ শূন্য হওয়ার সম্ভাবনার সঙ্গে দেশের চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য সুখবর আসছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা আগ্রহভরে অপেক্ষা করছেন নভেম্বর মাসের নতুন বিজ্ঞপ্তির জন্য। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা হাতে পেলেই এই শূন্যপদগুলি পূরণের লক্ষ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ১৩,৫০০টি সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। একই সময়ে প্রায় ৩২,০০০ সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একটি মামলার কারণে তাঁদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। তবে মহাপরিচালকের আশা, মামলার রায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঘোষণা করা হবে। রায় প্রকাশের পর এই ৩২,০০০ সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য হয়ে যাবে। ফলে নতুন নিয়োগের সুযোগ আরও বিস্তৃত হবে।
শিক্ষকদের বেতন কাঠামো উন্নীতকরণের বিষয়েও ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। প্রধান শিক্ষকদের জন্য দশম গ্রেড ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে এবং তা দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১তম গ্রেডের সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পে কমিশনেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যা শিক্ষক পেশার মর্যাদা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক ক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে। আগে ক্ষুদ্র মেরামত বা স্লিপের জন্য প্রধান শিক্ষক সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা খরচ করতে পারতেন, যা এখন তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নির্মাণ বা মেরামতের ক্ষেত্রে বিল প্রদানের সময় প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারের যৌথ স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা চাকরি প্রার্থীরা নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই প্রস্তুতি জোরদার করতে পারেন। শূন্যপদ পূরণের সঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে মান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ উন্নত হবে।
