সায়েদ, সাহেদ, নবাব না আবেদ — কাকে বেছে নেবে কুলাউড়া? নাকি অন্য কেউ?
কুলাউড়া প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার–০২ (কুলাউড়া) আসনের রাজনীতি এখন টগবগে উত্তাপে ফুঁসছে। দ্বারপ্রান্তে জাতীয় সংসদ নির্বাচন— আর সেই নির্বাচনী হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম থেকে শহর, হাট থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পর্যন্ত। চায়ের দোকানের আড্ডা হোক কিংবা এলাকার চৌমুহনী— সর্বত্র এখন একটাই আলোচনা, কে হবেন কুলাউড়ার আগামীর কর্ণধার?
চার জনপ্রিয় মুখ নিয়ে সরগরম রাজনীতি
চারটি ভিন্ন রাজনৈতিক ধারার চার ভিন্ন মুখ— প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গায় জনপ্রিয়, সক্রিয় এবং সমর্থকদের মাঝে আলোচিত নাম।
এডভোকেট নবাব আলী আব্বাস খান — সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য। কুলাউড়ার রাজনীতিতে পরিচিত, অভিজ্ঞ ও পরিমিত স্বভাবের এই নেতা স্থিতিশীল নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবেই সমর্থকদের কাছে পরিচিত।
মাওলানা কাজী ফজলুল হক খান সাহেদ — সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও দীর্ঘদিনের রাজনীতিক। সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি আনজুমানে আল–ইসলাহ'র বিশাল অনুসারী গোষ্ঠী ও ধর্মভিত্তিক ভোট ব্যাংক নিয়ে এগিয়ে আছেন।
এডভোকেট আবেদ রাজা — বিএনপির মৌলভীবাজার জেলা সহ–সভাপতি। মানবিক উদ্যোগ, গণসংযোগ, ও পরিষ্কার রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তিনি বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত সম্ভাব্য প্রার্থী।
ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ মোশারফ — জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী। সংগঠনভিত্তিক রাজনীতিতে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা এবং তরুণদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা তাঁকে নতুন রাজনৈতিক বিকল্প হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে।
উত্তাপ বাড়ছে নির্বাচনী মাঠে
চারজনই এখন মাঠে সক্রিয়। কেউ সাংগঠনিক ভিত্তি শক্ত করছেন, কেউ জনগণের দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছেন নিজের বার্তা। ফলে কুলাউড়ার রাজনীতিতে এখন উত্তাপ চরমে— যেন নির্বাচনের আগাম সাইরেন বাজছে!
স্থানীয় এক প্রবীণ নাগরিকের ভাষায়, “এবার কুলাউড়ায় হবে তরুণ বনাম অভিজ্ঞ নেতৃত্বের লড়াই। জনগণ এমন একজনকেই দেখতে চায়, যিনি শুধু প্রতিশ্রুতি নয়— উন্নয়নের বাস্তব চিত্র দেখাতে পারবেন।”
সম্ভাব্য বড় চমক?
এদিকে গুঞ্জন রয়েছে— এই আসনে জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমানও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। যদি তা হয়, তবে তাঁর সঙ্গে আনজুমানে আল–ইসলাহ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ–এর লড়াই জমে উঠবে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতায়।
সব মিলিয়ে কুলাউড়ার রাজনীতিতে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে— সায়েদ, সাহেদ, নবাব না আবেদ— কে হবেন কুলাউড়ার আগামী দিনের পথপ্রদর্শক?
নাকি সময়ের পালাবদলে আসবে অন্য কোনো চমক?
