রাজনগরে জলমহাল ইজারাদারের বাঁধে ১২০ একর জমি পানিবন্দি

বোরো আবাদ নিয়ে চরম বিপাকে কৃষকরা

রাজনগর প্রতিনিধি 


রাজনগরের কাউয়াদীঘি হাওরে জলমহাল ইজারাদারদের নির্মিত মাটির বাঁধের কারণে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রায় ১২০ একর জমি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। হাইকোর্টের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত নির্দেশনা উপেক্ষা করে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিকে জলমহালের সঙ্গে একীভূত দেখিয়ে বাঁধ নির্মাণ করায় বোরো মৌসুমে আবাদ নিয়ে বড় ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে।

শনিবার বিকেলে রাজনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ খারপাড়া গ্রামের জমির মালিক ফজলুল হক নীরু জানান, শালকাটুয়া জলমহালের পাশের এসএস ও আরএস খতিয়ানের ১২০ একরের মালিকানা জমি বহু বছর ধরে ইজারাদারপক্ষ জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ২০১৪ সালে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ এবং ২০১৬ ও ২০১৮ সালে হাইকোর্টের নির্দেশনার পরও সীমানা নির্ধারণ বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জমির মালিকরা প্রতি মৌসুমেই ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, জলমহালের ইজারাদার ‘সোনালী স্বপ্ন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’ ভাটির দিকের সরকারি জায়গায় বাঁধ না দিয়ে মালিকানাধীন ফসলি জমিতেই বাঁধ তুলছে। এতে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে জমিগুলোতে আবাদ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সম্প্রতি মালিকরা জমি পরিদর্শনে গেলে পাঁচগাঁও ইউনিয়নের খালদার গ্রামের লিটন মিয়া তাদের বাধা দেন এবং বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। মালিকদের অভিযোগ—জলমহালের সাব–লিজও নীতিমালা পরিপন্থীভাবে দেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রকাশিত।

এ বিষয়ে লিটন মিয়ার মোবাইলে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা তুজ জাহরা বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতরপূর্বতন