প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে লিটনের মৃত্যুদণ্ড

 


শাহ্ মাশুক নাঈম, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে লিটন মিয়া নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. লিটন আহমদ ওরফে লিটন মিয়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের খলিল আহমদের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও গ্রামের ফরিদ আহমদের মেয়ে তমা বেগম (১৮)-এর সঙ্গে লিটন মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল ফরিদ আহমদ স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে তমা একা ছিলেন।

পরদিন (২৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যরা রান্নাঘর থেকে তমার বিবস্ত্র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন। পরে দোয়ারাবাজার থানায় একটি অজ্ঞাতনামা মামলা দায়ের করা হয়।

তদন্তে পুলিশ প্রেমিক লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তে উঠে আসে, লিটন মিয়া তমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন।

দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে আদালত দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় লিটন মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

রায় ঘোষণার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. শামছুর রহমান বলেন,

“এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভিকটিম ও তার পরিবারের জন্য এটি এক ধরনের স্বস্তির খবর।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতরপূর্বতন