মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেছেন, “দেশের উচ্চ আদালতে মামলার চাপ কমানোর লক্ষ্যে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সহজ ও দ্রুত করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়িত গ্রাম আদালত প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে অল্প সময়ে ও স্বল্প খরচে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যম হিসেবে গ্রাম আদালত এখন জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছে।” মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় বিষয়ে জেলা পর্যায়ের অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, মৌলভীবাজারের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোসা. শাহীনা আক্তার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসরাইল হোসেন।
সভায় এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ সময়কালের গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের অগ্রগতি, মাঠপর্যায়ের চ্যালেঞ্জ, অর্জন, সুপারিশ এবং আগামী ছয় মাসের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মোসা. শাহীনা আক্তার বলেন, “এখনও অনেক মানুষ গ্রাম আদালতের সুফল সম্পর্কে জানেন না। আমাদের সকলকে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের মাধ্যমে দ্রুত ন্যায়বিচার পেতে পারেন। এতে উচ্চ আদালতের মামলার চাপও কমবে।”
তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের গ্রাম আদালতের মামলা ও নথি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথকে সহজ ও দ্রুত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়িত “বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়)” প্রকল্পের মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম চলছে। এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে সহজে, কম খরচে, দ্রুত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং তৃণমূলের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীদের ন্যায়বিচার পাওয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

