ছাতকে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে নিরাপত্তা কর্মকর্তার আত্মহত্যা


ছাতক প্রতিনিধি


সুনামগঞ্জের ছাতকে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে জিয়াউল হুদা (৪২) নামের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (২৬ অক্টোবর) রাতে নিটল-নিলয় গ্রুপের পেপারমিল এলাকার কোয়ার্টার থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাতকস্থ নিটল-নিলয় কোম্পানিতে কর্মরত জিয়াউল হুদার সঙ্গে বিকেলে স্ত্রী শারমীন সুলতানা স্বর্ণার পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। অভিমান করে সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্ত্রী পাঁচ বছর বয়সী একমাত্র পুত্র সন্তান সামিউল উসমান আনাবিকে নিয়ে বাবার বাড়ির উদ্দেশে বেরিয়ে যান।

এর কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তা কর্মকর্তা জিয়াউল হুদা প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধান সোহেবুর রহমানকে ফোন করে জানতে পারেন, তার স্ত্রী সন্তানসহ ওই কর্মকর্তার বাসায় গেছেন। পরে ফোনে ক্ষমা চেয়ে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেন জিয়াউল।

সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে সোহেবুর রহমান ও জিয়াউলের স্ত্রী বাসায় গিয়ে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন জিয়াউল হুদা। খবর পেয়ে উপ-পরিদর্শক গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

রাতেই সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে সোমবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করেই আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে বিষয়টি কিছুটা রহস্যজনক মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতরপূর্বতন