নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সিলেট নগরীতে চালু হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত গণপরিবহন ব্যবস্থা। নগরবাসীর আর সিএনজির পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা নয়—শিগগিরই তারা পাবেন সাশ্রয়ী ও নিয়মিত পাবলিক সার্ভিসের সুবিধা।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) শনিবার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি জানায়, নগরীর যানজট নিরসন, যাতায়াত সহজ করা এবং অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আনতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সর্বোচ্চ তিনজন যাত্রী পরিবহনের নিয়মও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
ভরসা শুধু সিএনজিতে, এখন মিলবে বিকল্প পথ
সিলেট শহরে গণপরিবহন না থাকায় এতদিন ভরসা ছিল কেবল সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ হওয়ার পর থেকে সিএনজি পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ—ভাড়া বেশি, সময়মতো গাড়ি মেলে না, আবার অনেকে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করেন।
সিন্ডিকেটের দাপট ও বাড়তি দাম
সিএনজি সংকটের সুযোগে নগরীতে তৈরি হয়েছে এক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। ২০০৪-০৫ সালে বাজারে আসা আড়াই লাখ টাকামূল্যের পুরোনো সিএনজি এখন বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকায়! পুরোনো গাড়ির দাম যেখানে কমার কথা, সেখানে উল্টো বেড়েছে কয়েকগুণ।
আশা—পরিবর্তনের হাওয়া
নগরবাসী বলছেন, গণপরিবহন চালু হলে সাশ্রয়ী ভাড়ায় সহজে চলাচলের সুযোগ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে ভেঙে পড়বে সিএনজি নির্ভর এই দীর্ঘদিনের একচেটিয়া বাজার।
একজন নগরবাসীর ভাষায়— “প্রতিদিন অফিসে যেতে সিএনজির জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। গণপরিবহন চালু হলে শহরে চলাচল অনেক সহজ হবে।”
এসএমপি বলছে, নগরীর সড়ক ও রুট পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে অচিরেই গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু হবে। এতে সিলেট নগরীর যানবাহন ব্যবস্থাপনায় আসবে যুগান্তকারী পরিবর্তন।
