ইত্যাদির ভোলা পর্ব দর্শকদের মুগ্ধ করেছে ভোলা জেলার সংস্কৃতি

ভোলার চরফ‍্যাশনে ধারন করা ইত‍্যাদির পর্ব

ইত্যাদির ভোলা পর্ব সম্প্রতি ইউটিউবে আপলোড হওয়ার পর দর্শকদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলেছে। হানিফ সংকেতের সঞ্চালনায় তৈরি এই বিশেষ পর্বটি ভোলা জেলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং স্থানীয় জীবনধারাকে জীবন্তভাবে তুলে ধরেছে। প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘ফাগুন অডিও ভিশন’ চ্যানেলে এটি দেখা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ দর্শকের দ্বারা।

প্রায় দুই হাজার মন্তব্যে দর্শকরা তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। এক দর্শক লিখেছেন,“একটা অনুষ্ঠান এত বছর ধরে মানুষকে আনন্দ, শিক্ষা আর অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে—এটাই ইত্যাদির সবচেয়ে বড় সাফল্য।”

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার একজন স্থানীয় মন্তব্য করেছেন,“আমাদের দ্বীপ জেলা ভোলার আমার চরফ্যাশন উপজেলায় এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। আমি ছোটবেলা থেকেই এই ইত্যাদি অনুষ্ঠানের ফ্যান। বিশেষ করে হানিফ সংকেত স্যারের জন্য ইত্যাদি অনুষ্ঠান এতোটা জনপ্রিয়। নিজ উপজেলায় ইত্যাদি অনুষ্ঠান হওয়া সত্বেও সরাসরি দেখতে পারি নি। আমাদের দ্বীপ জেলা ভোলার ঐতিহ্য কে এতো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ইত্যাদি অনুষ্ঠানকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”

আরেকজন লিখেছেন,“নব্বই দশকের সেই সোনালী দিনগুলো থেকে 'ইত্যাদি' আমার জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তখন বিটিভিতে দেখতাম আর আজ ইউটিউবে দেখছি। হানিফ সংকেত যেন এক জাদুকর, যাঁর ছোঁয়ায় সাধারণ জীবনের গল্পগুলোও অসাধারণ হয়ে ওঠে। এই যেমন আজকের চরফ্যাশনের পর্বটি। সত্যিই মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো!"

বিদেশিদের অংশগ্রহণ এই পর্বটিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে এবং দর্শকদের আবেগ আরও বাড়িয়েছে। ভোলা বাসিন্দা এবং দেশের অন্যান্য জেলা থেকে দর্শকরা ইত্যাদির ভোলা পর্ব প্রশংসা করেছেন। এটি ভোলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইত্যাদির ভোলা পর্ব প্রমাণ করেছে, কিভাবে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান সাধারণ জীবনের গল্প, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে অনন্যভাবে উপস্থাপন করতে পারে, যা দর্শকের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন