পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়”—জকিগঞ্জে মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক

সুরমা-কুশিয়ারা নদীর তীরে টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও গ্যাস সরবরাহের দাবিতে জকিগঞ্জে গণজমায়েত

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :

"নির্বাচনে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়। এ পদ্ধতিতে গণমানুষের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটে না। লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। যে নির্বাচনে জনগণের মত প্রকাশ পায় না, সেটিকে নির্বাচন বলা যায় না।" — এমন মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক।

বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জের এম.এ. হক চত্বরে উপজেলা জমিয়তের আয়োজনে এক গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “দেশের সবচেয়ে অবহেলিত সীমান্তিক জনপদ হচ্ছে জকিগঞ্জ-কানাইঘাট। আমি দলীয় দায়িত্বে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সফর করি। কিন্তু জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের মতো অবহেলিত এলাকা আর দেখিনি। গত ১৬ বছরে এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত তিনজন সংসদ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তারা ক্ষমতায় থেকেও এ অঞ্চলের উন্নয়নে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেননি। বরং ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সংসদ সদস্য হয়ে নিজেদের উন্নয়নেই ব্যস্ত ছিলেন।”

গণজমায়েতে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা শায়খ জিয়াউদ্দিন। উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা জওয়াদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক কে. এম. মামুন ও মাওলানা রায়হান উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণজমায়েত বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন—সিলেট-৪ আসনে জমিয়ত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, মৌলভীবাজার-৪ আসনের প্রার্থী মাওলানা বদরুল হক, জমিয়ত সিলেট জেলা উত্তরের সহ-সভাপতি মাওলানা নূর আহমদ ক্বাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মুফতী এবাদুর রহমান, জকিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মুফতী মাহমুদ হোসাইন, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আলতাফ হোসাইন, গোয়াইনঘাট উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েস, জকিগঞ্জ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মুছব্বির, পৌর খেলাফত মজলিসের সভাপতি শায়খ মুস্তফা আহমদ, জনকল্যাণ সোসাইটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতিকুর রহমান ও শ্রমিক জমিয়তের উপজেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।

বক্তারা বলেন, “জকিগঞ্জ উপজেলার প্রধান সমস্যা নদীভাঙন। এই ভয়াবহ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে হলে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তীরে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। পাশাপাশি জকিগঞ্জবাসীর জন্য গ্যাস সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে। শ্যাওলা-জকিগঞ্জ সড়কসহ সব গ্রামীণ রাস্তা দ্রুত সংস্কার করতে হবে।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন