মাহতাব উদ্দিন ::
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের কৃতি সন্তান ইমরান হোসেন মেহেদী যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য আইদাহো ইউনিভার্সিটি (Idaho University) থেকে বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পিএইচডি (Doctor of Philosophy) ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
গত ৯ জুলাই (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর ডক্টরেট ডিগ্রি ঘোষণা করা হয়। এই অর্জনে শুধু পরিবার নয়, পুরো এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। তার এ কৃতিত্বে গর্বিত পুরো জকিগঞ্জবাসী।
ইমরান হোসেন মেহেদী উপজেলার আটগ্রাম নালুহাটি গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মো. মাকবুল হোসেন এবং মোছা. নাজমা হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সর্বজ্যেষ্ঠ।
জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও অধ্যবসায়ী ছিলেন। ২০০৯ সালে লুৎফুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং ২০১১ সালে সিলেট স্কলার্স হোম স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তিনি স্কলারশিপ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইদাহো ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় ছিলেন। তার এই কৃতিত্বের জন্য পরিবার, শিক্ষক, বন্ধু, আত্মীয়স্বজনসহ এলাকাবাসী দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত।
এ উপলক্ষে ইমরান হোসেন মেহেদী বলেন,“আমার এই অর্জনের জন্য সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর দরবারে অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি। যাঁরা আমাকে সাহস জুগিয়েছেন, প্রেরণা দিয়েছেন—এই অর্জন তাঁদের সবার। আমি আমার পরিবার, শিক্ষকমণ্ডলী, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”
উল্লেখ্য, ইমরান হোসেন মেহেদীর স্ত্রীও একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ তিনিও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করবেন।
ছেলের এই অনন্য সাফল্যে পিতা মো. মাকবুল হোসেন বলেন,“আমার ছেলের এ সাফল্যে আমি মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করছি। সে যেন ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে—এই প্রার্থনা করি। আমি তার দ্বীনি জীবন, সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনায় সবার দোয়া প্রার্থী।”