প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যৌথ জরিপ কার্যক্রম শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে, যা ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতার বাধার মুখে জরিপ কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং শেষপর্যন্ত জরিপ দলকে ফিরে যেতে হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, জরিপ কার্যক্রমে অংশ নিতে বাংলাদেশ জরিপ বিভাগ, ঢাকার ও সিলেটের ম্যাজিস্ট্রেট ও সার্ভেয়ার দল এবং বিজিবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সীমান্ত চিহ্নিতকরণে কাজ শুরু হলেও বিএসএফের আচরণে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয়দের শান্ত করে বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়। উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার পর বিএসএফ সদস্যরাও পিছু হটে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, "আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তবে এই জরিপ কার্যক্রমের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।"
৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, “বিএসএফের আপত্তির পরও যৌথ জরিপের জন্য নির্ধারিত সময়ে প্রতিনিধি দল গিয়েছিল। তবে স্থানীয় জনতার উপস্থিতি এবং উত্তেজনায় বিএসএফকে ফিরে যেতে হয়। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।”
বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং বিজিবি-বিএসএফের নিয়মিত টহল কার্যক্রম চলছে।