বাংলাদেশে মে মাসের ঝড়-বৃষ্টি ও কালবৈশাখী সতর্কতা
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মে মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে, যার মধ্যে এক বা দুটি নিম্নচাপে এবং সেখান থেকে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর সঙ্গে মিলিয়ে দেশে আট দিনের মতো কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে দু'তিনদিন মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ ঝড় এবং তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। এই সময় দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ আকারে ধরা দিতে পারে।
ভারতের পূর্বাঞ্চলেও কালবৈশাখীর আগমন
ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের সর্বশেষ সতর্কতায় জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলায় ইতোমধ্যে শনিবার বিকেল থেকে কালবৈশাখীর দাপট শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব রাজস্থানে সৃষ্টি হওয়া একটি ঘূর্ণাবর্ত ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড হয়ে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত। এর প্রভাবে শুধু ভারতের পূর্বাঞ্চল নয়, বাংলাদেশেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গে ও উপকূলে প্রভাব
ভারতের দার্জিলিং থেকে মালদা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মঙ্গলবার পর্যন্ত। একইভাবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ও উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতেও বজ্রসহ বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার প্রবণতা বাড়বে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
দুই বাংলায় এই কালবৈশাখী দাপট কিছুটা স্বস্তি দিলেও এর সঙ্গে বিপদও রয়েছে। বজ্রপাত, শিলা, তীব্র ঝোড়ো হাওয়া এবং আকস্মিক বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কৃষি ও সাধারণ জনজীবন।