জানা গেছে, নভোএয়ার বর্তমানে পাঁচটি এটিআর ৭২-৫০০ মডেলের বিমান বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে এবং ইতিমধ্যে বিমানের ইন্সপেকশন শুরু হয়েছে। কোম্পানিটির অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, এ মাসের মধ্যেই বিক্রয় প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ২০ এপ্রিল থেকে নভোএয়ার নতুন টিকিট বিক্রি বন্ধ করে এবং ২ মে থেকে সমস্ত ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করে। অর্থনৈতিক চাপে থাকা এই সংস্থাটি নতুন বিনিয়োগকারীর খোঁজে রয়েছে। যদি নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে।
বর্তমানে নভোএয়ার দেশের অভ্যন্তরে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহীর মতো গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছিল। তবে আন্তর্জাতিক রুটে কলকাতার ফ্লাইট ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে।
সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান জানিয়েছেন, নতুন বিনিয়োগকারী যুক্ত হলে বিমান বিক্রি না করে আবার ফ্লাইট চালু করা হবে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটি অন্তত তিন মাসের জন্য কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বাধ্য হবে। এই সময়েও কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা চালু থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে নভোএয়ার প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করেছে। তবে কোভিড-১৯ মহামারী, ইউক্রেন যুদ্ধজনিত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ বাজার সংকোচনের কারণে প্রতিষ্ঠানটি টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা নভোএয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। দুই সপ্তাহ পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানটি আবার কার্যক্রম শুরু করতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে যাত্রীদের টিকিটের অর্থ ফেরতের প্রক্রিয়া চলছে। নভোএয়ার আশ্বাস দিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।