সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মো. ইলিয়াস মিয়া, তাহিরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান মানিক, বিশ্বম্ভরপুরের ইউএনও মেরিনা দেবনাথ ও এসিল্যান্ড (ভূমি) শাহরুখ আলম শান্তনুসহ ১২ জন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে হাইকোর্ট। খনিজ বালি–পাথর চুরি ও লুট ঠেকাতে উচ্চ আদালতের পূর্বের নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন। বিশ্বম্ভরপুরের মিয়ারচর এলাকার বাসিন্দা খুরশেদ আলমের পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
পিটিশনে অভিযোগ করা হয়, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইজারার নীতিমালা ভঙ্গ করে জাদুকাটা বালি মহাল-১, ২ ও আশপাশের এলাকায় নদীর তীর কেটে, ‘সেইভ’ মেশিন ব্যবহার করে খনিজ বালি–পাথর চুরি ও লুট চলছে। এসব অপতৎপরতায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের গোপনে সহযোগিতার অভিযোগও আনা হয়।
এছাড়া এসব লুট–চুরির ঘটনা আড়াল করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় থানার পক্ষ থেকে মাঝে-মধ্যে লোকদেখানো অভিযান পরিচালনার বিষয়টিও আদালতের নজরে আনা হয়।
তাহিরপুর ইউএনও মেহেদী হাসান বলেন, আদালতের আদেশের কপি এখনও হাতে পাননি।
অপরদিকে, গত শনিবার রাতের এক স্ট্যাটাসে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরুখ আলম শান্তনু জানান—১৯ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৫৩টি অভিযানে ২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড এবং ৮টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়। জরিমানা আদায় করা হয় ২ লাখ টাকা।
স্ট্যাটাসে ‘জনসেবায় প্রশাসন’ উল্লেখ করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে গুজব বা ভ্রান্ত প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
