সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা রাজ্জাক খুন, পুলিশ হেফাজতে ছেলে


সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) খুনের ঘটনায় নতুন তথ্য দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আসাদ আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকেই পারিবারিক ও সম্পত্তিগত বিরোধের বিষয়টি সামনে রেখে তদন্ত শুরু হয়। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হত্যার সময় বাড়িতে বাইরের কারও প্রবেশ বা বের হওয়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি। এছাড়া বাড়ির প্রধান ফটকও ছিল তালাবদ্ধ।

তিনি বলেন, “নিহতের ছেলে আসাদকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই আব্দুর রাজ্জাককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে আমাদের ধারণা।”

এদিকে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। রাজ্জাকের শরীরে ছুরিকাঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। আত্মহত্যা হলে শরীরের এমন অবস্থার সৃষ্টি হতো না।”

পুলিশ জানায়, শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে প্রতিদিনের মতো রাজ্জাক নিজ বাসার ছাদে হাঁটতে যান। সকাল ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ছাদে গিয়ে তার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, স্বজনরা মামলা না করলে তারা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে এবং তাতে নিহতের ছেলে আসাদ আহমদকে আসামি করা হবে।

উল্লেখ্য, নিহত আব্দুর রাজ্জাক দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতরপূর্বতন