সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের দড়ারপাড় ও মনিরগাতি–কুম্বায়ন গ্রামের লোকজনের মধ্যে মোরগ চুরির জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গ্রাম-সংলগ্ন পাকা সড়কে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল ব্যবহার করে ঘণ্টাব্যাপী মুখোমুখি হয়।
খবর পেয়ে ছাতক থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতদের মধ্যে দড়ারপাড় গ্রামের আবু বক্কর (৩৫), লোকমান মিয়া (৪৫), ফয়ছল আহমদ (২৫), লাহিন মিয়া (২২), সাকলাইন মিয়া (২৬), গিয়াস উদ্দিন (৫০) এবং মনিরগাতি–কুম্বায়ন গ্রামের নাহিদ মিয়া (২০), জামাল হোসেন (৪০), সফর আলী (৩৫) প্রমুখকে কৈতক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতরাও একই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দড়ারপাড়ের আবু বক্করের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকবার গৃহপালিত মোরগ চুরি হওয়ার অভিযোগ ছিল মনিরগাতি–কুম্বায়নের নাহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতেও একটি মোরগ হারালে আবু বক্কর নাহিদের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানতে চান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাহিদ ও তার সহোদররা তাকে আটক করে মারধর করে।
পরবর্তীতে আবু বক্করের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার স্বজনরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নাহিদের বাড়ির দিকে এগিয়ে যান। এরপর দুই পক্ষ পাকা সড়কে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম খান জানান, “দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা নেই।”
