সবুজ প্রান্ত ডেস্ক
বাগেরহাটের চিতলমারীতে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা! ঋণের কিস্তি বাকি থাকায় এক গৃহবধূর হাতের স্বর্ণের আংটি, নাকফুল ও পিতলের বদনা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে।
গৃহবধূর দাবি—তাকে ও তার ছোট্ট মেয়েকে অফিসের কক্ষে তালাবদ্ধ করে ভয় দেখানো হয়, পরে দুইটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে গয়না ও বদনা কেড়ে নেওয়া হয়! শনিবার (৮ নভেম্বর) ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় শুরু হয় তোলপাড়।
অভিযোগকারী শ্রাবণী হীরা (২২) জানান, তিনি ড্যাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (DFED)-এর চিতলমারী শাখা থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সুদসহ ফেরত দিতে হতো ৪৫ হাজার ১২০ টাকা। কিন্তু তার স্বামী রিপন কাজের খোঁজে বাইরে গেলে কয়েকটি কিস্তি বাকি পড়ে যায়।
এমন ঘটনার পর পাশ বইয়ে লেখা হয়—‘আংটি বাবদ ৮ হাজার টাকা’ ও ‘বদনা বাবদ ১ হাজার ৫০০ টাকা’। বিষয়টি জানাজানি হতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে এনজিওর কর্মকর্তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। চিতলমারী শাখা ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ বলেন, “গৃহবধূ শ্রাবণীর কিস্তি খেলাপি ছিল। নাকফুল নেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে, আর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
