শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামে আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে স্টেডিয়াম চত্বর জনসমুদ্রে পরিণত হয়। খণ্ড খণ্ড মিছিলে পুরো এলাকা মুখর হয়ে ওঠে।
আনিসুল হক বলেন, “আজ দেশের যুব সমাজ বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি ও অন্ধ রাজনৈতিক দমননীতির শিকার। তাদের উচিত দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা, কারণ আজকের ভোটই নির্ধারণ করবে আগামী প্রজন্মের ভাগ্য। তারুণ্যের শক্তিই পারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি কেবল একটি রাজনৈতিক রূপরেখা নয়— এটি জাতির মুক্তির সনদ। যেখানে রয়েছে আইনের শাসন, ভোটাধিকার, জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ও নাগরিক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা। তাই তরুণদের উচিত সেই মুক্তির আন্দোলনে যুক্ত হওয়া।”
বিগত সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে ক্ষমতাসীনরা শুধু নিজেদের পকেট ভারি করেছে, অথচ সুনামগঞ্জ-১ আসনে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। “যাদুকাটা নদীর সেতু, বাদাঘাট থেকে তাহিরপুর সদর পর্যন্ত রাস্তা কিংবা সীমান্ত অঞ্চলের উন্নয়ন— কোথাও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। দলীয় মনোনয়ন পেলে এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে আমি সুনামগঞ্জ-১ আসনের চার উপজেলার (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা) সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবো,”—যোগ করেন আনিসুল হক।
সভা শেষে উপজেলা কৃষকদলের উদ্যোগে জনতার মাঝে তারেক রহমানের ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। পরে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
