অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও মাদক বিরোধী এলার্ট ঘোষণা
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, সম্প্রতি নগরীর এই ব্যস্ত পর্যটন এলাকায় কিছু অসচেতন ব্যক্তি অনৈতিক কার্যকলাপ, মাদক সেবন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে রেভিটা বাংলাদেশ বিশেষ সতর্কতা জারি করে।
রেভিটা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, পর্যটন এলাকাসহ জনসমাগমস্থলে অশালীন আচরণ, হয়রানি ও বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এসব দমন এবং নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংগঠনটি মানবতা, ন্যায্যতা ও সামাজিক সম্মানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।
কর্মসূচিতে আহ্বান জানানো হয়—যে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড, হয়রানি বা অপরাধমূলক আচরণ চোখে পড়লে নীরব না থেকে প্রতিবাদ জানাতে এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে। পাশাপাশি মাদকবিরোধী কার্যক্রমে সাধারণ মানুষকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
রেভিটা বাংলাদেশের নেতারা স্পষ্ট বার্তা দেন—যে কোনো ধরনের হয়রানি, অপমান বা অরাজক আচরণের বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার থাকবে। অন্যের কাজে বাধা প্রদানকারীদের মানবতার শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শনের কোনো জায়গা তৈরি হতে দেওয়া হবে না।
তারা আরও বলেন, পর্যটন এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাধারণ নাগরিকের সমন্বিত উদ্যোগ অপরিহার্য। কোনো সদস্য হয়রানির শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংগঠনকে জানাতে বলা হয়।
রেভিটা বাংলাদেশের নেতারা বলেন, “যে সমাজ অন্যের প্রতি সহমর্মী, সেই সমাজই প্রকৃত অর্থে উন্নত সমাজ।” পর্যটন এলাকাকে অপরাধমুক্ত রাখতে তারা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
