বিশ্বনাথে রাজনৈতিক উত্তাপ: হুমায়ূন–লুনা অনুসারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া! আহত ১০

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরশহর বৃহস্পতিবার রাতে পরিণত হয় রাজনৈতিক উত্তেজনার মঞ্চে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ূন কবির এবং চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা—দুই শীর্ষ নেতার অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। রাতভর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে পুরো শহরে।

সূত্র জানায়, বিকেলে দৌলতপুর ইউনিয়নের চরচন্ডী গ্রামে হুমায়ূন কবিরের মতবিনিময় সভা ঘিরে সকাল থেকেই বিশ্বনাথ শহর ছিল উত্তপ্ত। অপরদিকে লুনা অনুসারীরাও বাসিয়া ব্রিজ এলাকায় জড়ো হয়ে পথসভা ও স্লোগানে মুখর ছিলেন।

বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হুমায়ূন কবিরের গাড়িবহর বাসিয়া ব্রিজ পার হওয়ার সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মুখোমুখি অবস্থান থেকে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, তবে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে তখন বড় সংঘর্ষ এড়ানো যায়। হাসিমুখে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে হুমায়ূন কবির অনুষ্ঠানস্থলের দিকে রওনা হন।

কিন্তু রাত নামতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সভা শেষে তাঁর গাড়িবহর থানা এলাকা অতিক্রমের সঙ্গে সঙ্গেই দুই পক্ষের মধ্যে ফের স্লোগান, এরপরই শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে তিন ঘণ্টা ধরে আতঙ্কে কাঁপে শহর। ব্যবসায়ী ও পথচারীরাও প্রাণ বাঁচাতে দিকবিদিক দৌড়ান।

এ ঘটনায় যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাজ্জাদ আলী শিপলু, ছাত্রদল নেতা মিনহাজ আহমদ ও আব্দুর রহমান আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে অন্য আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর সার্কেলের এএসপি আশরাফউজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ মাঠে নামে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি টহলে নামলে দুই পক্ষের উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়।

এএসপি আশরাফউজ্জামান বলেন, “পুলিশ ও সেনাবাহিনী সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতরপূর্বতন