সিলেটে অবৈধ রিকশা বন্ধে প্রশাসনের পক্ষে আরিফ, বিপক্ষে এমদাদ—দ্বন্দ্বের মূল কোথায়?

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেট নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও টমটম বন্ধের সরকারি উদ্যোগে যখন সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহল স্বস্তি প্রকাশ করেছে, ঠিক তখনই বিপরীতমুখী অবস্থানে দাঁড়িয়ে দলের অভ্যন্তরে স্পষ্ট বিভেদ তৈরি করেছেন বিএনপির দুই প্রভাবশালী নেতা। প্রশাসন ও পুলিশের এই অবৈধ যানবাহন বন্ধের উদ্যোগকে সমর্থন করে মাঠে নেমেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও দলীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, অন্যদিকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী প্রকাশ্য সমাবেশে অংশ নিয়ে রিকশাচালকদের সমর্থন জানিয়েছেন। এই দুই নেতার অবস্থান এখন রাজনৈতিক মহলে ‘দ্বন্দ্বের মূল’ কোথায়—সেই প্রশ্ন তুলেছে।

প্রশাসনের কঠোর উদ্যোগের ফলে নগরীর যানজট কমেছে এবং নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এই ইতিবাচক পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “ব্যাটারি ছাড়া তারা চলুক, ব্যাটারি থাকলে দুর্ঘটনা বেশি হয়। পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।” তিনি রিকশা বন্ধের পক্ষে সক্রিয়ভাবে কর্মসূচি পালন করছেন।

তবে বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতার বিপরীতমুখী অবস্থানকে দলীয় বিরোধিতার চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থের সংঘাতের প্রতিফলন হিসেবে দেখছে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। অভিযোগ উঠেছে, সিলেটে কতিপয় বাম ও ডানপন্থী রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিক এই ব্যাটারিচালিত রিকশা ও টমটমের মালিক। তারা শ্রমিকদের ব্যবহার করে এই আন্দোলনকে চাঙ্গা করতে চাইছে।

যদিও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ব্যক্তিগত কাজে থাকায় তাঁর বিস্তারিত বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে তিনি পূর্বে উল্লেখ করেছিলেন, “আমি অবৈধ কিছুর পক্ষে নই, রিকশা চালকদের উত্তেজনা প্রশমনের জন্য বক্তব্য দিয়েছিলাম।”

এদিকে রিকশা চালুর দাবিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর নগরজুড়ে বিক্ষোভের সময় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরপরই প্রশাসন কঠোর বার্তা দেয়। পুলিশ কমিশনার সুধী সমাজের এক বৈঠকে উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে এবং আন্দোলনে উসকানি না দেওয়ার পরামর্শ দেন। এই বৈঠকের পরই জেলা বাসদের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়, যদিও পরে তাঁরা জামিন পেয়েছেন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন