ঘোষণা অনুযায়ী, সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্যাকেজ ১-এর জন্য খরচ হবে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এই প্যাকেজের হাজীরা মক্কায় হারাম শরীফ প্রাঙ্গণ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ মিটার দূরত্বে এবং মদিনার মারকাজিয়া এলাকায় থাকার সুবিধা পাবেন। মিনার জোন-২-এ অবস্থিত তাঁবুতে মোয়াল্লেমের সরবরাহকৃত খাবারের পাশাপাশি তারা ডি+ ক্যাটাগরির পরিষেবা পাবেন। প্রতিটি কক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচজন থাকার ব্যবস্থা থাকবে। অন্যদিকে, প্যাকেজ ২-এর খরচ কিছুটা কম, প্রায় ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এই প্যাকেজের আওতায় মক্কায় আবাসন হবে হারাম শরীফের প্রাঙ্গণ থেকে ১.২ থেকে ১.৮ কিলোমিটারের মধ্যে এবং মদিনায় মারকাজিয়া এলাকায়। এই হাজীরাও মিনার জোন-২-এ মোয়াল্লেমের সরবরাহকৃত খাবার ও ডি ক্যাটাগরির পরিষেবা পাবেন। প্যাকেজ ১ এবং ২-এর হাজীরা অতিরিক্ত চার্জ প্রদান সাপেক্ষে মক্কা ও মদিনায় দুই জন বা তিনজনের রুমে থাকতে পারবেন।
ধর্ম উপদেষ্টা এএফএম খালিদ হোসেন জানান, এবার নতুন করে সাশ্রয়ী হজ প্যাকেজ-৩ চালু করা হয়েছে, যার জন্য খরচ হবে প্রায় ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এই প্যাকেজের আওতায় মক্কার আজিজিয়া এলাকায় ও মদিনার মারকাজিয়া এলাকার বাইরে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। সরকার এই প্রথমবারের মতো আজিজিয়া এলাকায় হজযাত্রীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করেছে। এই প্যাকেজের হাজীরা প্রতিটি কক্ষে সর্বোচ্চ ছয়জন থাকবেন এবং মিনার জোন-৫-এ তাদের তাঁবু থাকবে। সাশ্রয়ী এই প্যাকেজের হাজীদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের মাধ্যমে হারাম শরীফে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে। মিনা ও আরাফায় এই প্যাকেজের হাজীরা ডি ক্যাটাগরির পরিষেবা পাবেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারি প্যাকেজে হজযাত্রী-প্রতি দৈনিক খাদ্য ব্যয় ন্যূনতম ৩৫ সৌদি রিয়াল ধরা হয়েছে। এই অর্থ প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত। তবে এর বাইরে নিজস্ব খাদ্য ও কেনাকাটার জন্য হজযাত্রীদের আলাদা অর্থ নিয়ে যেতে হবে। সরকার-পরিচালিত এই প্যাকেজগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ের জন্য জনপ্রতি ৫ লাখ ৯ হাজার টাকার একটি 'সাধারণ হজ প্যাকেজ' চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই প্যাকেজ গ্রহণকারী বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোকে নিজস্ব আরও দুটি অতিরিক্ত প্যাকেজ ঘোষণার অনুমতি দেওয়া হবে।