![]() |
প্রতীকী ছবি |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে বদরুল ইসলাম (৪২) তার মা রহিমা বেগমকে ছুরিকাঘাত করেছেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত রহিমা বেগম সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর ইউনিয়নের আইওর গ্রামের আব্দুল গাফফারের স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ও তার পরিবার শাহপরাণ এলাকার হেপি কমপ্লেক্সে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ খবর পেয়ে শাহপরাণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এসএমপি মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ছেলে বদরুলের ছুরিকাঘাতেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হয়েছে। সে দীর্ঘদিন মৌলভীবাজারের একটি মডেল মসজিদের ইমাম হিসেবে চাকরি করত । চাকরিতে থাকাকালী তার মধ্যে মানসিক সমস্যা দেখা দেয়ায় তাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। এরপর পরিবার থেকে চিকিৎসার কোন উদ্যোগ না নেয়ায় সে দিন দিন আরো বেশী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। তাই এইধরণের ঘটনা ঘটায়। সে বতর্মান পলাতক রয়েছে । তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রতিবেশীরা জানান, রহিমা বেগম ছিলেন শান্তিপ্রিয় ও ধর্মপরায়ণ নারী। তার এমন করুণ মৃত্যুতে তারা গভীরভাবে শোকাহত।