![]() |
ছবি: বাফুফে |
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে নেপাল। বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ও গোলকিপারের দৃঢ়তায় তারা জালের দেখা পায়নি। অন্যদিকে, বাংলাদেশ বরাবরের মতো রক্ষণাত্মক কৌশল মেনে খেললেও সুযোগ পেলে আক্রমণে উঠেছে।
বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় সুযোগ পান সুমন রেজা। তার একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয় এবং আরও একটি শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। নেপালের অনন্ত তামাং ও মানি কুমার লামা ফ্রি–কিক থেকে হুমকি তৈরি করেছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত গোল আসেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা দলে পরিবর্তন আনেন। মাঠে নামানো হয় শাহরিয়ার ইমন, কাজেম শাহ কিরমানি, তাজ উদ্দিন ও আরিফ হোসেনকে। তবে আক্রমণে কিছুটা গতি আসলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলেনি।
বাংলাদেশের গোলরক্ষক সুজন হোসেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। চোটগ্রস্ত মিতুল মারমার বদলে সুযোগ পেয়ে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সেভ করে তিনি দলকে হার থেকে রক্ষা করেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০২২ সালে এই একই দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালের কাছে বাংলাদেশ ফুটবল দল ৩-১ গোলে হেরেছিল। তবে এবার লাল-সবুজরা লড়াই করে হলেও সেই হার এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার আবারও মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল। সমর্থকদের আশা, এবার গোল পেয়ে জয়ের আনন্দেই মাঠ ছাড়বে বাংলাদেশ দল।