আদালতের অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তাং তাঁর সরকারি পদ ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম, প্রকল্প চুক্তি এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে অন্যদের সুবিধা দিয়ে বিপুল অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করেছেন। আদালতের ভাষ্যমতে, এই সময়ে তিনি ২৬৮ মিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৩৭.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) অবৈধভাবে গ্রহণ করেছেন। আদালত এটিকে ‘দেশ ও জনগণের স্বার্থে গুরুতর আঘাত’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, স্থগিতাদেশের দুই বছরের পর্যবেক্ষণকালে যদি তাং নতুন কোনো অপরাধ না করেন এবং ভালো আচরণ করেন, তবে তার সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হতে পারে। পরবর্তীতে আচরণের ভিত্তিতে সাজার মেয়াদ আরও হ্রাস পেতে পারে।
রায়ের অংশ হিসেবে আদালত তাং রেনজিয়ানের আজীবনের জন্য রাজনৈতিক অধিকার বাতিল করেছে এবং তাঁর সমস্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অবৈধভাবে অর্জিত সমস্ত অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে।
আদালত আরও জানিয়েছে, তাং তদন্তে সহযোগিতা করেছেন, স্বেচ্ছায় কিছু অপ্রকাশিত তথ্য দিয়েছেন এবং ঘুষের অর্থ ফেরত দিতে সম্মত হয়েছেন। এসব ইতিবাচক দিক বিবেচনায় আদালত তাঁর মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৬৩ বছর বয়সী তাং রেনজিয়ান একজন অভিজ্ঞ কমিউনিস্ট পার্টি সদস্য। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে চীনের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালের মে মাসে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় এবং ছয় মাসের মধ্যে তাকে দল থেকে বহিষ্কার ও সরকারি পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর এপ্রিল মাসে ঘুষের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয় এবং জুলাই মাসে মামলার প্রকাশ্য শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।