শোকাবহ ১৫ আগস্ট আজ

আজ ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে তিনি সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, যা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।

ভোররাতে কিছু সেনাসদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, আবদুল নাঈম খান রিন্টু, কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।
ঘটনার সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথমবারের মতো ১৫ আগস্টকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করে। ২০০১ সালে এ সিদ্ধান্ত বাতিল হলেও ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরায় তা চালু করে। তবে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় শোক দিবসের সরকারি ছুটি বাতিল করে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম চলমান থাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে। যদিও সামাজিক মাধ্যমে দলটির পক্ষ থেকে শোকবার্তা ও কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

১৫ আগস্ট উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশের সাঁজোয়া যান, রায়টকার ও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বিকেল থেকে প্রবেশপথগুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে যানবাহন ও পথচারী চলাচল নিশ্চিত করা হয়। এ সময় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সম্ভাব্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তারা সতর্ক রয়েছে। তবে রাত ১২টার দিকে শুক্রাবাদ মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন