১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথমবারের মতো ১৫ আগস্টকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করে। ২০০১ সালে এ সিদ্ধান্ত বাতিল হলেও ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরায় তা চালু করে। তবে ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় শোক দিবসের সরকারি ছুটি বাতিল করে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম চলমান থাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ রয়েছে। যদিও সামাজিক মাধ্যমে দলটির পক্ষ থেকে শোকবার্তা ও কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১৫ আগস্ট উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশের সাঁজোয়া যান, রায়টকার ও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বিকেল থেকে প্রবেশপথগুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে যানবাহন ও পথচারী চলাচল নিশ্চিত করা হয়। এ সময় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সম্ভাব্য যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তারা সতর্ক রয়েছে। তবে রাত ১২টার দিকে শুক্রাবাদ মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।