সুনামগঞ্জ-১ আসনে অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর অঙ্গীকার

"জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই প্রার্থী" 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

"আমি কোনো পদ-পদবি নয়, চাই জনগণের কাছে ফিরে যেতে — তাদের ভালোবাসা ও আস্থা নিয়ে আবারও লড়তে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার আর দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়েই আমি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।" — এক আবেগঘন কণ্ঠে এই কথাগুলো বলছিলেন সুনামগঞ্জের প্রিয় মুখ, অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১১টায় ধর্মপাশা উপজেলার দশধরী গ্রামের জোবাইদা গার্ডেনে আয়োজিত এক হৃদয়গ্রাহী সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ-মধ্যনগর) আসনে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বিএনপির রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের সক্রিয় ও পরীক্ষিত নেতা। তাঁর দায়িত্বপালনের মধ্যে রয়েছে—

  • সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি

  • সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি

  • প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল

  • সাবেক সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল

রাজনীতির মাঠে তিনি শুধু সংগঠক নন, ছিলেন একজন নির্যাতিত যোদ্ধাও। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কারাবরণ করেছেন, তবু পিছু হটেননি।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন

  • ওই নির্বাচনে সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে বিএনপির পক্ষে সর্বোচ্চ ভোট অর্জন করেছিলেন তিনিই।

  • শুধু তাই নয়, সিলেট বিভাগের মধ্যে বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ব্যাপক আলোচিত হন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে ডা. রফিকুল বলেন—

“দেশে আজ সুশাসনের চরম অভাব। রাজনৈতিক বিভাজন ও দুর্নীতিতে দেশ জর্জরিত। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে, এখনই সৎ ও সাহসী নেতৃত্বের প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন—

“আমি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নির্যাতিত হয়েছি, কারাগারে থেকেছি। কিন্তু মাথা নত করিনি। আজও সেই দৃঢ়তা নিয়ে মাঠে নামছি। আমার বিশ্বাস—দল আমাকে মনোনয়ন দিলে জনগণ আমাকে ভালোবেসে নির্বাচিত করবে।”

সম্মেলনের শেষে তিনি সুনামগঞ্জবাসীর উদ্দেশে বলেন—

“এই লড়াই শুধু একটি আসনের নয়—এটি ন্যায়ের, নীতির ও মানুষের অধিকারের লড়াই। আসুন, আমরা সবাই মিলে গড়ি একটি সৎ ও মানবিক নেতৃত্বের বাংলাদেশ।”

অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর এই প্রত্যাবর্তন শুধু একটি প্রার্থিতার ঘোষণা নয়, বরং এক নতুন আশার আলো—যা সুনামগঞ্জবাসীকে আবারও স্বপ্ন দেখাচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক আগামীর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন