![]() |
ছবি : পানি বেড়ে যাওয়ায় সকালে ঘর ছাড়ছেন লোহারমহল এলাকার বাসিন্দারা। |
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে। টানা বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে কুশিয়ারা নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গিয়ে অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট অঞ্চলে ২৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হলেও সীমান্তের ওপার থেকে ঢল থামেনি। ফলে নদ-নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার শুরুতে অনেকেই বাড়িঘর ছাড়তে না চাইলেও, মঙ্গলবার সকাল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। গবাদি পশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে অনেকে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
জানা গেছে, জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রারাই, বাখরশাল এবং খলাছড়া ইউনিয়নের লোহারমহল এলাকায় নদীর পাড়ে নির্মিত বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও ৩০ থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত বাঁধ ভেঙে গেছে, এবং ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
কেউ কেউ সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন, আবার অনেকে উঠেছেন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে। তবে এখনো অনেকে নিজ বাড়ি ছাড়তে চাইছেন না।
প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা জানান, এখনো পর্যাপ্ত সরকারি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি। অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে কুশিয়ারা নদীর পানি ঢুকে ৫টি ইউনিয়নে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ উঠতে শুরু করেছে এবং সরকারিভাবে ২৪ টন চাল বন্যা আক্রান্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।