সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠালো ভারত


সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অনুপ্রবেশের পরপরই তাদের আটক করে।

আটককৃতদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ৩ জন শিশু রয়েছে। তারা সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছে এবং নিজেদের বাড়ি নড়াইল, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বলে দাবি করেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, পাঁচ বছর ধরে ভারতের আসাম রাজ্যে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি ভারতীয় পুলিশ হঠাৎ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দেয় এবং হেলিকপ্টারে করে ত্রিপুরার মানিকভান্ডার এলাকায় নিয়ে গিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। পরে বিএসএফ ধলই সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করে।

তারা আরও জানায়, তাদের সঙ্গে আরও শতাধিক ব্যক্তি ছিল, যাদের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পাঠানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কোন সীমান্তে কারা পাঠানো হয়েছে, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়।

স্থানীয় মাধবপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনা রানী দেব বলেন, বিজিবি যখন তাদের থানায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পরে তাদের থানায় না নিয়ে কোথায় নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মানধবপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শীব নারায়ন শীল বলেন, “সীমান্ত এলাকায় আরও লোকজন জড়ো হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিজিবি এখন সর্তক অবস্থানে আছে।”

৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাকারিয়া বলেন, “আটক ব্যক্তিরা বাংলা ভাষায় কথা বলছে। যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর মৌলভীবাজারের সব সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন