গোয়াইনঘাটে ৭ সন্তানের মায়ের নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই


মতিউর রহমান, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১২নং সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আলীর গ্রামে দারিদ্র্য আর মানবেতর জীবন নিয়ে করুণ সময় পার করছেন বিধবা জাহানারা বেগম। এক বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে স্বামী কামাল উদ্দিন মারা যাওয়ার পর থেকেই নেমে আসে দুঃখ-দুর্দশার অমানিশা। সাত সন্তানকে নিয়ে আজ তিনি চরম অসহায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাহানারা বেগমের একমাত্র আশ্রয় একটি জরাজীর্ণ কুঁড়েঘর। মাটির দেয়াল ভেঙে গেছে, চালার ফাঁকে পলিথিন টানিয়ে কোনোভাবে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করেছেন। বর্ষায় পানি পড়ে ঘরের ভেতর স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে, যা একেবারেই বসবাসের অনুপযোগী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্বামী হারা জাহানারা বেগম সাত সন্তান নিয়ে কঠিন দিন পার করছেন। নেই নলকূপ, নেই স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা। এমনকি এখনো পাননি বিধবা ভাতার কার্ডও। কাজ করলে খাবার জোটে, না হলে না খেয়ে কাটাতে হয় দিনরাত। একমুঠো ভাতের আশায় মাঝে মধ্যে  প্রতিবেশীদের  বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করেন তিনি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে জাহানারা বেগম জানান, আমার পাঁচ মেয়ে, দুই ছেলে। বড় মেয়ের বয়স ১৮ বছর। স্বামী মারা যাওয়ার পর মাথা গোঁজার মতো একটা ঘরও নেই। এখন অন্যের ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছি। যদি সমাজের কেউ আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিতেন, তাহলে আমরা অন্তত খেয়ে-পরে বাঁচতে পারতাম।

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সুমন বলেন, জাহানারা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা বিভিন্ন সময় সাহায্য করেছি। তার ঘরের বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের বিবেচনায় রয়েছে। যদি সরকারি বরাদ্দ আসে, তাহলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাকে সহযোগিতা করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন