নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ
১৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে সিলেট নগরীর এক টিনশেড ঘর থেকে উদ্ধার করা হলো বিশ্বনাথের এক কিশোরী স্কুলছাত্রীকে। ওই ঘরে বন্দিদশায় কাটানো প্রতিটি দিন ছিল ভয়াবহ এক নির্যাতনের অধ্যায়। ধর্ষণের শিকার হওয়া এ কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছে ১৯ বছরের যুবক রবিউল হক রায়হান।
ঘটনার শুরু ১৮ মে সন্ধ্যায়। সেদিন বিশ্বনাথ উপজেলার জাগরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোরী বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। তার পরিবার ধারণাও করতে পারেনি, প্রতিবেশী এক বাড়ির গৃহকর্মীই এমন সাহসী এক অপকর্ম করতে পারে।
রায়হান, পেশায় একজন কাজের লোক, দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পরিবার বিষয়টি জানার পর নিষেধ করে দেয়। এরপরই পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয় মেয়েটিকে। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অজানায়।
খোঁজাখুঁজির পর জানা যায়, কিশোরীকে আটকে রাখা হয়েছে সিলেট নগরীর কাজিটুলা এলাকার মক্তব পল্লীর একটি টিনশেড বাসায়। পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত রায়হানকে।
ভিকটিম পুলিশকে জানায়, অপহরণের পর ওই ঘরে তাকে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রায়হান।
ঘটনার পরদিন, শুক্রবার (৩০ মে), ভিকটিমের মা বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৯(১) ধারায় মামলা করেন (মামলা নম্বর: ১৭/২০২৫)। শনিবার গ্রেপ্তারকৃত রায়হানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, “ঘটনার পরপরই আমরা পদক্ষেপ নিই। কিশোরীকে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”