পৌরসভা মেয়রের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও উঠেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ
সিলেটের জকিগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সাবেক সেক্রেটারি এম. এ শাকুর চৌধুরী কোকিল ও কোষাধ্যক্ষ এম. এ আজিজের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জকিগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের শতাধিক সাধারণ মুসল্লি লিখিতভাবে এ অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে বলা হয়, প্রায় তিন দশক ধরে একই কমিটিতে থেকে অভিযুক্ত সেক্রেটারি ও কোষাধ্যক্ষ মসজিদের বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত আয় ব্যাংকে জমা না করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করেন। সংবিধান ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিয়ম-নীতি অমান্য করে তাঁরা অবৈধভাবে পদে বহাল থাকেন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখেন।
দরখাস্তকারীদের দাবি, কমিটির এসব অনিয়ম আড়াল করতে স্থানীয় পৌর মেয়র হাজি খলিল উদ্দিন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, মেয়র মুসল্লিদের অজান্তে এককভাবে একটি পকেট কমিটি গঠন করে সেটি সাধারণ মুসল্লিদের ওপর চাপিয়ে দেন। এতে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মুসল্লিদের মধ্যে। তাঁদের আশঙ্কা—বিষয়টি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ পৌর মেয়র হাজি খলিল উদ্দিন বলেন, “২৮ জুন ও ৩ জুলাই অনুষ্ঠিত বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাজি মো. সামছ উদ্দিন ও কাজী মো. হিফজুর রহমান প্রদত্ত তালিকা থেকে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
অভিযুক্ত এম. এ শাকুর চৌধুরী কোকিল মিয়া বলেন, “সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ্দিন মারা যাওয়ায় নতুন ব্যাংক হিসাব খোলা সম্ভব হয়নি। শিগগিরই হিসাব খুলে মসজিদের ব্যয়ের পর উদ্বৃত্ত প্রায় ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা রাখা হবে।”
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন কুমার সিনহা বলেন, “বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে সবাইকে নিয়ে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত করুন
উত্তরমুছুন