জকিগঞ্জ প্রতিনিধি
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নের আমলশিদ গ্রামে গোয়ালঘর থেকে ৯ বছর বয়সী এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নিজ বাড়ির গোয়ালঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত কিশোরীর নাম ঝুমা আক্তার (৯)। সে আমলশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং দিনমজুর হারুন আহমদের ষষ্ঠ কন্যা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে ধানক্ষেতে বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে ঝুমা। এরপর মসজিদের ইমামের কাছে টিউশনে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও ঘরে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ সময় বড় বোনের মেয়ে গোয়ালঘরে গরুর রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। পরে বড় বোন সাবিনা ইয়াসমিন মরদেহ নিচে নামিয়ে পুলিশে খবর দেন।
পরিবারের দাবি—শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। তবে মাত্র ৪ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার ঝুমা কীভাবে প্রায় ৭ ফুট উঁচু গোয়ালঘরের তীরে রশিতে ঝুলে পড়লো—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাস্থলে কোনো সিঁড়ি, চেয়ার বা ওঠার উপকরণ পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধারকালে গরুর ব্যবহৃত রশি গলায় প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল।
খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্নার নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, “পরিবারের দাবি—শিশুটি হয়তো খেলতে গিয়ে অসাবধানতায় রশিতে জড়িয়ে পড়ে মারা গেছে। তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি চাইছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান—অপরাধের কোনো আলামত না মিললেও এটি সংবেদনশীল মৃত্যু, তাই পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনগতভাবে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে।
