ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় সমুদ্রে ১৩টি নৌযান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটক হওয়া যাত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশী নাগরিক রয়েছেন স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরস্কের ২১ জন এবং মালয়েশিয়ার ১২ জন। মূলত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই নৌবহরটি যাত্রা করেছিল।
গত ৩১ আগস্ট স্পেন থেকে যাত্রা শুরু করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ছিল এখন পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ সরবরাহের সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক উদ্যোগ। এই বহরে মোট ৪৪টি জাহাজ এবং ৪৯৭ জন যাত্রী ছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনীর এই বলপ্রয়োগের ঘটনা সত্ত্বেও ফ্লোটিলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, তাদের মিশন থামেনি। আটক হওয়া জাহাজগুলোর বাইরেও এখনো প্রায় ৩০টি জাহাজ তাদের গন্তব্য গাজায় পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফ্লোটিলার পথরোধের প্রতিবাদে ইতালির বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠন দেশটিতে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত জুন ও জুলাই মাসেও একই ধরনের ত্রাণবাহী জাহাজ বহরকে আটকে দিয়েছিল ইসরায়েল।