গেজেটভুক্ত তিন সীমানার নামে চাঁদা আদায়, পর্যটক-যাত্রীর জন্য নেই শৌচাগার-বিশ্রামাগার
এই হয়রানি থেকে মুক্তি এবং পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবিতে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি জরুরি ভিত্তিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, সিলেট ও কোম্পানীগঞ্জ রুটে চলাচলকারী প্রতিটি বাস-মিনিবাস থেকে প্রতি ট্রিপে ১২০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করা হয়।
যাত্রী ও পর্যটকের দুর্ভোগ
চাঁদাবাজি ও হয়রানির পাশাপাশি এই রুটে চলাচলকারী পর্যটক, সাধারণ যাত্রী এবং চালকরা মৌলিক সুবিধার অভাবে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। পর্যটনকেন্দ্রগামী এই পথে কোনো বাসস্ট্যান্ড বা টার্মিনালে শৌচাগার, বিশ্রামাগার বা অপেক্ষার স্থানের মতো ন্যূনতম সুবিধা নেই। এর ফলে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
পার্কিং ও স্থানীয় যানবাহনে কঠোরতা
স্থানীয় ছোট যানবাহন যেমন সিএনজি অটোরিকশা চালকরাও পার্কিং নীতির অতিরিক্ত কঠোরতার কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় শ্রমিকদের দাবি, জনস্বার্থে এই অঞ্চলের প্রধান যোগাযোগভিত্তিক ছোট যানবাহনের ক্ষেত্রে মানবিক শিথিলতা আনা প্রয়োজন।
সমিতির জরুরি দাবি
সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ-গোয়াইনঘাট বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ইউএনও'র কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করে অবৈধ চাঁদা আদায় বন্ধ করা, গণপরিবহন খাতে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, পর্যটকদের জন্য শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নির্মাণ এবং স্থানীয় ছোট যানবাহনের পার্কিং নীতিতে মানবিকতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা আশা করছেন, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে কোম্পানীগঞ্জের গণপরিবহন খাতকে চাঁদাবাজির জাল থেকে মুক্ত করবে।