—মাওলানা মো. লোকমান খান নবীন
ধর্মীয় নেতারা সমাজের এক বিশেষ শ্রেণির মানুষ, যাদের চিন্তাধারা, বক্তব্য, আচার-আচরণ ও জীবনদর্শন সাধারণ মানুষের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। সামাজিক উন্নয়ন, নৈতিক মূল্যবোধ ও মানবকল্যাণে তাদের অবদান বহুমাত্রিক। নিচে সমাজ উন্নয়নে ধর্মীয় নেতাদের কয়েকটি প্রধান ভূমিকা সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো—
১. জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধি
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু নামাজ, রোজা বা ধর্মীয় বিধান শেখায় না; বরং মানুষকে সচেতন নাগরিক হিসেবেও গড়ে তোলে। মাদকবিরোধী প্রচার, অপসংস্কৃতি রোধ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং নারীর মর্যাদা রক্ষায় ধর্মীয় নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তারা সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে পরিচালিত করেন।
২. মানবসেবা ও দানশীলতার অনুপ্রেরণা
ধর্মীয় নেতারা শেখান—মানবসেবাই সর্বোচ্চ এবাদত। তাদের আহ্বানে সমাজে দান, যাকাত, সদকা ও সহানুভূতির চর্চা বৃদ্ধি পায়। এতে দরিদ্র, এতিম ও অসহায় মানুষের জীবনমান উন্নত হয় এবং সমাজে ন্যায়ভিত্তিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩. ঐক্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রক্ষা
সামাজিক শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় ধর্মীয় নেতাদের অবদান অনন্য। তারা সমাজে ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তোলেন। সাম্প্রদায়িকতা, হিংসা ও বিভাজনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠনে প্রেরণা জোগান।
৪. সঠিক নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা প্রদান
৫. ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা
ধর্মীয় নেতারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হন এবং মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে আহ্বান জানান। তাদের নেতৃত্বে সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়, দুর্বল শ্রেণি তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পায় এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব হয়।
