“সুপারি আটকাতে গুলি, প্রাণ গেল আলমাসের : বিজিবির গুলি নিয়ে ধোঁয়াশা”
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া
সিলেটের জৈন্তাপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর গুলিতে আলমাস মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের বালিদারা হন্দিরমুখ এলাকায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিজিবি সদস্যরা চোরাই সুপারি বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান ধাওয়া করে। কিন্তু পিকআপটি থামাতে না পেরে তারা গুলি ছোঁড়ে। এতে পিকআপে থাকা কেউ নয়, স্থানীয় বাসিন্দা আলমাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
ঘটনার পর বিজিবি দাবি করে নিহত আলমাস একজন চোরাকারবারি। তবে স্থানীয়দের দাবি, আলমাস পেশায় কৃষক, তিনি মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন।
এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা পিকআপটি আটক করে রাখেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
বিজিবির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “চোরাইপণ্যবাহী পিকআপ আটকাতে গেলে চোরাকারবারিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে ৪-৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়। এতে এক সদস্য আহত হন।”
তবে আহত বিজিবি সদস্যের নাম-পরিচয় বা চিকিৎসার বিস্তারিত তথ্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
নিহত আলমাস জৈন্তাপুর উপজেলার নয়াখাল গ্রামের শরিফ উদ্দিনের পুত্র।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদিউজ্জামান জানান, “বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই।”
এদিকে এলাকাবাসী বলছেন, প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা আন্দোলনে নামবেন।
