আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি প্রণয়ন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজপথে সরব বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একইসঙ্গে দলটি ২৯৪ আসনে প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করে ভোটের প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
তবে এই নির্বাচনে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের পাঁচ প্রভাবশালী নেতা প্রার্থী হচ্ছেন না— যা এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এটিএম মাসুম, মাওলানা আবদুল হালিম ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। এছাড়া অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলামও ভোটের বাইরে থাকছেন।
দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, “বৃহত্তর সাংগঠনিক স্বার্থ ও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা জোরদার করার কৌশলগত অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন—“একটা পরিবারের সবাই সব কাজ করে না, এটাই সৌন্দর্য। সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি ও আরও কয়েকজন দায়িত্বশীল নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছি। আমরা প্রার্থী না হলেও নির্বাচনের মূল প্রক্রিয়ায় আছি—ঘুরে ফিরে ভোটের কাজেই যুক্ত আছি।”
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটে না থাকা এই পাঁচ নেতা এখন নির্বাচনকালীন কৌশল নির্ধারণ, প্রার্থী মনিটরিং, জোট গঠন ও আন্দোলন গোছানোর দায়িত্বে রয়েছেন। এমনকি জাতীয় নির্বাচনের আগে দলটির নতুন আমির নির্বাচনের প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধানেও তাদের কেউ কেউ ভূমিকা রাখবেন।
এ প্রসঙ্গে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন— “নির্বাচন করা যেমন বড় কাজ, তেমনি এটি পরিচালনাও বিশাল দায়িত্ব। প্রার্থীদের তদারকি, প্রচারণা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় একটি নিবেদিত টিম দরকার। এ কারণেই আমাদের কিছু দায়িত্বশীলকে প্রার্থী না করে ব্যবস্থাপনায় রাখা হয়েছে।”
দলীয় সূত্রের তথ্যমতে, জামায়াত আগামী জাতীয় নির্বাচনে ২৯৪টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। কেন্দ্রীয় শীর্ষ ১২ নেতার মধ্যে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, আর বাকি পাঁচজন থাকবেন নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা ও কৌশল বাস্তবায়নের দায়িত্বে।