আহত বিধবার নাম রাহেনা বেগম (৪৫)। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে থানায় এসে মামলা দায়ের করেন তিনি (মামলা নং–১৬, তারিখ ১৯/১০/২০২৫)।
মামলার এজাহারে রাহেনা বেগম উল্লেখ করেন, একই গ্রামের চাচাতো ভাই নুরুজ আলীর ছেলে সাহেদ আলী (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে তাকে ও তার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি বসতঘরের রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। এ সময় সাহেদ আলী হাতে ধারালো দা নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে মূল দরজার সিটকিনি বন্ধ করে দেন এবং দা দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে টাকা-পয়সা দাবি করেন।
বাদীর অভিযোগ, তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাহেদ আলী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা ২–৩ জন ঘরের পানির মোটর চালু করে দেয়, যাতে বাইরে থেকে কোনো শব্দ শোনা না যায়। পরে সাহেদ আলী দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথার ডান পাশে কোপ দেন। বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গেলে তার হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও শাহাদাত আঙুলে গভীর রক্তাক্ত জখম হয়।
চিৎকার শুনে তার মেয়ে সুমা আক্তার (২২) বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও দরজা বন্ধ থাকায় ঘরে প্রবেশ করতে পারেননি। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় রাহেনা বেগম দরজা খুলে বাইরে এসে মেয়ের কাছে আশ্রয় নেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাহেদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
