আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম মাত্র কয়েক বলের মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান। অধিনায়ক লিটন দাস কিছুটা স্থিতি ফিরিয়েছিলেন, ২৬ বলে ২৮ রান করে দলের ইনিংস সামলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০ ওভারে ৫ উইকেটে মাত্র ১৩৯ রান। শেষ দিকে জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর যৌথ ব্যাটিং কিছুটা আশার আলো দেখালেও সেটি যথেষ্ট হয়নি।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে কামিল মিশারা এবং পাথুম নিসাঙ্কা আগ্রাসী ছন্দে ছিলেন। পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান তুলেছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত ৩২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে লঙ্কানরা। বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ে ছোটখাটো ভুল, ব্যাটিংয়ের ধ্বংসাত্মক পারফরম্যান্স এবং সীমিত বোলিং দক্ষতা ম্যাচের ফলাফলে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।
এবার বাংলাদেশের নজর থাকবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে। টাইগারদের আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি রেকর্ডও বেশ চ্যালেঞ্জিং: শেষ ১২ ম্যাচে বাংলাদেশ ৫ জয় পেয়েছে, আফগানিস্তান ৭ জয়। অর্থাৎ বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বে টিকে থাকার আশা এখন সীমিত, আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারলে বিদায় প্রায় নিশ্চিত।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা, ফিল্ডিং ভুল এবং সীমিত বোলিং দক্ষতা মিলিতভাবে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশনকে হুমকির মুখে ফেলেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের ম্যাটচে জিততে হলে চরম চাপ মোকাবেলা করতে হবে।