টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দলের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। তানজিদ তামিম যেন সব সমালোচনার জবাব দিচ্ছিলেন ব্যাট হাতে। ২৯ বলে ৩০ রান করে তিনি দলকে ভালো সূচনা এনে দেন। অন্যদিকে, অধিনায়ক লিটন দাস এবং মিডল অর্ডারের ভরসা তাওহীদ হৃদয় কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তামিম ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো ৫১ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেললেও, মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় দলের রান গতি কমে আসে।
বিশেষ করে, ১০ ওভার শেষে যেখানে দলের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৮৭ রান, সেখানে পরের ৪৮ বলে আসে মাত্র ৫২ রান। শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলী অনিক, নুরুল হাসান সোহান কেউই দলের হয়ে বড় কিছু করতে পারেননি। এই সময়ে রানের গতি কমে যাওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন, বাংলাদেশের স্কোর হয়তো বড় হবে না। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।
১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানকে শুরুতেই ধাক্কা দেন নাসুম আহমেদ। প্রথম ওভারেই উইকেট মেডেন আদায় করে নেন এই সিলেটি স্পিনার। তবে আফগানদের লড়াই থামেনি। রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং বিশেষ করে ওমরজাইয়ের ঝড়ো ইনিংস বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেয়। মাত্র ১৬ বলে ৩০ রান করে ওমরজাই যখন আউট হন, তখনো আফগানিস্তানের জয়ের আশা উজ্জ্বল ছিল।
তবে ম্যাচের শেষ মোড় ঘুরে যায় যখন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান ব্যাট হাতে নামেন। তিনি ১১ বলে ২০ রান করে টাইগারদের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের দারুণ বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ের সামনে হার মানতে হয় রশিদকে। শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াই শেষে ৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। এই জয় যেন শুধু একটি ম্যাচের ফল নয়, বরং দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তার এক নিখুঁত উদাহরণ।