বাঁচামরার লড়াইয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৪ রান।এশিয়া কাপে টিকে থাকার ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু করেও মাঝের ওভারে ছন্দ হারায় বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে টিকে থাকার জন্য উভয় দলের কাছেই ছিল বাঁচামরার লড়াই। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন দাসের এই সিদ্ধান্তে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আসে একাদশে। সাইফ হাসান, নুরুল হাসান, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদকে দলে নেওয়া হয়। ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসানের সঙ্গী হন সাইফ।
শুরুর ঝড় তানজিদের ব্যাটে
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন দুই ওপেনার। তৃতীয় ওভারে আফগান পেসার ফজলহক ফারুকিকে টানা চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ঝড়ের আভাস দেন তানজিদ হাসান। অন্যদিকে, সাইফ হাসানও পিছিয়ে ছিলেন না। গজনফরের ওভারে বিশাল ছক্কা মেরে তিনিও আক্রমণের সুর তোলেন। দুই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৫৯ রান তোলে বাংলাদেশ—যা সাম্প্রতিক সময়ে দলের অন্যতম সেরা সূচনা।
রশিদের জোড়া আঘাত
ভালো শুরুটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। রশিদ খানের বলে ৩০ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাইফ হাসান। এরপর ক্রিজে নামেন অধিনায়ক লিটন দাস, কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নুর আহমেদের বলে ৯ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন তিনি।
একপ্রান্ত আগলে দারুণ ব্যাট করছিলেন তরুণ ওপেনার তানজিদ। মাত্র ২৮ বলে টি - টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সপ্তম আন্তর্জাতিক অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। এটি ছিল চলতি বছর তার চতুর্থ ফিফটি। কিন্তু ফিফটির পর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি। নুর আহমেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৫২ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
মাঝের ওভারে ধাক্কা সামলাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ
তানজিদের বিদায়ের পর শামীম হোসেন ১১ রান করে রশিদের শিকার হলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ১৬ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৪/৪। এরপর তাওহিদ হৃদয় কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে খেলার চেষ্টা করেন, তবে ২০ বলে ২৬ রান করে তিনিও ওমরজাইয়ের বলে আউট হন।
শেষ দিকে নুরুল হাসান জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও দলের রান বেশি বাড়াতে পারেননি। নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৫৪ রানে। এশিয়া কাপে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানকে করতে হবে ১৫৫ রান।