টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক লিটন দাস। দলে ফিরেছেন শেখ মেহেদী হাসান ও শরিফুল ইসলাম, যা বোলিং আক্রমণে নতুন গতি আনে। বিশেষ করে মুস্তাফিজুর রহমান শুরু থেকেই মারাত্মক ছিলেন। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে শিকার করেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। প্রমাণ করলেন কেন তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পেসার।
শ্রীলঙ্কা শুরুতে পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে দারুণ ছন্দে থাকলেও শেখ মেহেদীর বোলিংয়ে মেন্ডিস আউট হতেই রান তুলতে হিমশিম খায় লঙ্কানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। তবে শেষদিকে দাসুন শানাকা অসাধারণ ব্যাটিং করে দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহে পৌঁছে দেন। তার অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস শ্রীলঙ্কাকে এনে দেয় ১৬৮ রানের টার্গেট।
১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর সাইফ হাসান দৃঢ় ইনিংস খেলেন। ৪৫ বলে ৬১ রান করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ টাইগারদের হাতে তুলে দেন তিনি। অধিনায়ক লিটন দাসও তাকে দারুণ সঙ্গ দেন।
সবচেয়ে বড় চমক দেখান তাওহীদ হৃদয়। দলের ওপর চাপ বাড়তেই তিনি এগিয়ে আসেন। মাত্র ৩৭ বলে ৫৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচকে প্রায় একাই বাংলাদেশের দিকে টেনে আনেন। শেষদিকে দ্রুত দুটি উইকেট পড়লেও জয় থেকে আর কেউ টাইগারদের আটকাতে পারেনি। ৪ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্য পূরণ করে বাংলাদেশ।
