সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট মহানগরীর সড়কগুলোতে যানজট ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে দেখা হয়েছে যত্রতত্র চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং অন্যান্য অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহনের কারণে সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবীদের দৈনন্দিন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানেই প্রশাসন এই বিশেষ অভিযানে নেমেছে বলে জানা গেছে।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট নগরীর পাঠানটুলা পয়েন্ট, হুমায়ুন রশিদ চত্বর, নাইওরপুল, মেন্দিবাগ, জিতু মিয়ার পয়েন্ট এবং রিকাবীবাজার পয়েন্টে চলে এই বিশেষ অভিযান।
এসএমপি এবং র্যাব-৯ এর এই যৌথ অভিযানে প্রথম দিনেই ব্যাপক সাফল্য আসে। র্যাব-৯ এর আলাদা অভিযানে ৪৫টি ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং ১১টি অন্যান্য যানবাহন আটক করা হয়। অন্যদিকে, এসএমপির অভিযানে আটক হয়েছে ৮৫টি ব্যাটারিচালিত রিকশা, ৫টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ১টি লেগুনা, ১৪টি মোটরসাইকেল, ১টি ট্রাক এবং ১টি পিকআপ। সব মিলিয়ে মোট আটককৃত যানবাহনের সংখ্যা ১৪৩টি।
আটককৃত যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনেই মোট ১৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ১১টি, সিএনজিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে ২টি, প্রাইভেট কারের বিরুদ্ধে ২টি, পিকআপ ও ট্রাকের বিরুদ্ধে ১টি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত এসব যানবাহন সরাসরি ডাম্পিং করা হয়েছে এবং মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরেই সেগুলো পুনরায় চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এই অভিযানের বিষয়ে নগরবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী বলে প্রশংসা করছেন, আবার কেউ এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা আমাদের মূল লক্ষ্য। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নবনিযুক্ত এসএমপি কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। নগরীর জনজীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনা এবং যানজটমুক্ত সিলেট গড়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।তিনি আরও জানান, এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।