![]() |
মুফতি শায়খ আব্দুল আজিজ |
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ইনসাইড দ্যা হারামাইনের সূত্র মতে, গ্র্যান্ড মুফতির মৃত্যুর খবর আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। তার বিদায়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের দুই পবিত্র মসজিদের কর্তৃপক্ষ। তারা মরহুমের পরিবার, সৌদি জনগণ এবং সমগ্র ইসলামি বিশ্বের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
মরহুমের জানাজা আজ বাদ আসর রিয়াদের ঐতিহাসিক ইমাম তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ রিয়াদের দিকে রওনা হয়েছেন। এছাড়া, তার সম্মানার্থে সৌদি আরবের সব মসজিদে আজ আসরের নামাজের পর বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৯৯ সালে শায়খ আবদুল আজিজ সৌদি আরবের প্রধান মুফতির পদে নিয়োগ পান। এই পদে থেকে তিনি ধর্মীয়, সামাজিক এবং আইনি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া দিয়েছেন, যা দেশটির বিচার ব্যবস্থায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। তিনি ইলমি গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির একজন প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন। সৌদি আরবের প্রধান মুফতিকে সরাসরি বাদশাহ নিয়োগ দেন এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই সম্মানজনক দায়িত্ব পালন করেছেন।
শায়খ আবদুল আজিজ আলে শায়খ বংশের একজন সদস্য। এই বংশটি ইসলামের ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা মুহাম্মদ ইবনে আব্দ আল-ওয়াহাব। উল্লেখ্য, প্রধান মুফতির পদটি ১৯৫৩ সালে বাদশাহ আব্দুল আজিজ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
শায়খ আবদুল আজিজের কর্মজীবনের এক বিশেষ দিক হলো, তিনি ১৯৮১ সাল থেকে টানা ৩৫ বছর ধরে পবিত্র হজের খুতবা দিয়েছেন। ২০১৬ সালে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি এই দায়িত্ব থেকে অবসর নেন। তার দেওয়া খুতবা পৃথিবীর কোটি কোটি মুসলিম মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং তা থেকে দিকনির্দেশনা গ্রহণ করেছেন। তার মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহ একজন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় নেতাকে হারাল।