![]() |
ছবি: সংগ্রহকৃত |
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১২ জুলাই) রাতে, কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কান্দলা গ্রামে। পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আক্তার তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য যান। তবে স্ত্রীর পরিবারের বাধার মুখে ফিরে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর তিনি বাজার থেকে একটি টাইগার ড্রিংকের বোতলে করে পেট্রোল এনে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত স্ত্রীর শরীরে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
সাবানার চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। প্রথমে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। রোববার সকালে তিনি একটি মৃত কন্যাসন্তান প্রসব করেন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, হামলার পর আক্তার পালিয়ে যান। সোমবার দুপুরে সাতবাঁক ইউনিয়নের চরিপাড়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান, ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে গিয়ে সাবানার খোঁজখবর নেন। তাঁর ভাষ্য, এমন ভয়াবহ ঘটনা এলাকায় এর আগে ঘটেছে বলে শুনিনি। স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, আক্তার একসময় কুয়েতে ছিলেন এবং মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ প্রকৃতির ছিলেন বলে জানা গেছে।
সাবানার বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, ভেবেছিলাম বিয়ের পর মেয়ে শান্তিতে থাকবে। এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এর সঠিক বিচার চাই আমি।