বিশ্ব বাবা দিবস আজ: বাবার প্রতি ভালোবাসা জানানোর বিশেষ দিন


ছবি : সংগ্রহকৃত
আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাবা দিবস। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার এই দিনটি উৎসর্গ করা হয় বাবাদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে। জীবনের প্রথম ‘সুপারহিরো’ হিসেবে বাবাদের ভূমিকাকে সম্মান জানানো এই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য।

বাবাদের ভূমিকা কেবল অর্থ উপার্জন কিংবা সন্তানদের দায়িত্ব পালনেই সীমাবদ্ধ নয়। বাবা হলেন সেই শক্তির নাম, যিনি রোদ-বৃষ্টির আড়ালে সন্তানদের নিরাপদ রাখেন। আজকের দিনে সন্তানরা বাবাদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোকে স্মরণ করে, তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

বিশ্ব বাবা দিবসের শুরুটা যাত্রা শুরু করেছিল ১৯০৭ সালের মোনোনগাহ্ কয়লা খনি দুর্ঘটনার পর, যেখানে প্রায় ৩৬২ জন শ্রমিক নিহত হন। তাদের বেশিরভাগই ছিলেন পিতারা, যারা অজস্র সন্তানকে নিঃস্ব পিতৃহীন করে যান। এই বেদনাদায়ক ঘটনায় বিশ্ববাসীর মননে বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়োজনীয়তা আরও গভীর হয়।

এরপর ১৯০৯ সালে সনোরা স্মার্ট ডড নামের এক তরুণী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে স্থানীয়ভাবে বাবা দিবস পালনের প্রথম উদ্যোগ নেন। নিজের বাবার ত্যাগ এবং একক পিতার দায়িত্ব পালন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এই দিনটিকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। তার কঠোর পরিশ্রমের ফলে ১৯১০ সালের ১৯ জুন প্রথমবারের মতো বাবা দিবস উদযাপিত হয়।

বাবা দিবস এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে বাবা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানদের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষ একটি মাধ্যম।

বিশ্ব বাবা দিবসের গুরুত্ব শুধুমাত্র বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সীমাবদ্ধ নয়, এটি বাবা ও সন্তানের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে। এই দিনে বাবাদের ত্যাগ ও ভালবাসাকে স্মরণ করে সন্তানরা নতুন করে নিজেদের দায়িত্ব অনুভব করে।

বাবা দিবসের দিনটিকে স্মরণীয় করে তোলার অন্যতম কারণ হলো বাবা হওয়া শুধু একটি দায়িত্ব নয়, এটি একটি জীবনদর্শন, একটি ভালোবাসার পরিমাপক যা সন্তানের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।

বিশ্ব বাবা দিবস ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন সময়ে পালন করা হলেও, এর মূল ভাব একই থাকে – বাবা দিবস মানেই সন্তানের জীবনের সেই প্রথম ‘সুপারহিরো’কে শ্রদ্ধা জানানো।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন