স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ
কুমিল্লা প্রতিনিধি :: গ্রাম আদালত ব্যবস্থাকে প্রান্তিক জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির একটি সহজ, দ্রুত ও স্বল্প খরচের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হলো এক বিশেষ কর্মশালা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন ২০২৫) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ - ৩য় পর্যায় প্রকল্প’।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার কুমিল্লার উপপরিচালক মোঃ মেহেদী মাহমুদ আকন্দ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল ইসলাম।
কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গ্রাম আদালতের উদ্দেশ্য, কার্যপ্রক্রিয়া এবং প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধির কৌশল তুলে ধরা হয়। আলোচনায় উঠে আসে—ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়ন এবং ইউএনডিপির কারিগরি সহায়তায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য হলো দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগণের বিশেষ করে নারীদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, “গ্রাম আদালত একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। অনেক দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধ গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি করা সম্ভব, এতে উচ্চ আদালতের মামলার চাপও কমবে।”
কর্মশালায় অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা মতিন, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
তারা গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাম আদালতকে আরও কার্যকর করতে করণীয় বিষয়সমূহ নিয়ে মতামত ও পরামর্শ দেন।
কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী কমিশনার মালিহা সুলতানা।
আয়োজকরা আশা করেন, এই ধরনের সচেতনতামূলক আয়োজন ইউনিয়ন পরিষদভিত্তিক গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে এবং বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ এর সুফল পাবে।