জকিগঞ্জে ডাইক মেরামত সহ জনদাবী পরিষদের ১৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি


জকিগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর ভাঙন ও ডাইক রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলা, পাশাপাশি দীর্ঘদিনের নাগরিক ভোগান্তির প্রতিবাদে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে "জনদাবী আদায় পরিষদ"-এর ব্যানারে উপজেলা প্রশাসনের কাছে ১৫ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, প্রতিবছর কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে জকিগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে শত শত পরিবার গৃহহীন হওয়ার পাশাপাশি চাষযোগ্য জমিও ধ্বংস হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জনদাবী আদায় পরিষদের আহ্বায়ক মুফতি আবুল হাসান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ইকবাল আহমদ তাপাদার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম রোকবানী চৌধুরী জাবেদ, শ্রমিক মজলিসের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ, পৌর বিএনপি সভাপতি মাসুক আহমদ, পৌর আল ইসলাহ সভাপতি কাজী হিফজুর রহমান, উপজেলা আল ইসলাহর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাওলানা ফদ্বলুর রহমান, বিএনপি নেতা প্রফেসর বদরুল হক বাদল, খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সভার একপর্যায়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এক কর্মকর্তাকে নেতৃবৃন্দ তীব্রভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। তখন ওই কর্মকর্তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কুশিয়ারার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি বাঁধ মেরামতের আশ্বাস দেন।

স্মারকলিপি গ্রহণকালে ইউএনও মাহবুবুর রহমান জানান, "প্রশাসন বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে।"

নেতৃবৃন্দ বলেন, কুশিয়ারার অব্যাহত ভাঙনে জনজীবন বিপর্যস্ত। এখনই পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ দুর্যোগ দেখা দিতে পারে। তারা প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন