আহমেদ জুনাইদ :
আব্দুল আজিজ, যিনি আজিজ মেম্বার নামে বেশি পরিচিত, তাঁকে আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। তিনি মজলুম ও অসহায় মানুষের আশ্রয়, নির্ভরতার প্রতীক। বারঠাকুরী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাঁর যাত্রা শুরু হলেও আজ তিনি পুরো জকিগঞ্জবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, নিরলস সেবার মাধ্যমে ।ছোটবেলা থেকেই ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী আজিজ ভাই ছাত্রশিবিরের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন। পরে জামায়াতে ইসলামীতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। শুরু থেকেই তিনি সংগঠনের জন্য নিজের অনেক কিছু ত্যাগ করেছেন—ব্যবসা, পরিবার, জীবনের স্বস্তি। অথচ কখনো নিজের জন্য কিছু চেয়েছেন বলে কেউ বলতে না।
সেই সময়টা খুব কঠিন ছিল। দিনের পর দিন বাড়ি ছাড়া, রাতের পর রাত পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। পুলিশের ভয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। অথচ এই মানুষটার বিরুদ্ধে যেসব মামলা ছিল, সবগুলোই ছিলো ভূয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত , তবুও মামলার আসামি হয়েছেন— শুধু জামায়াত করার কারণে।
তিন ডজনের বেশি মামলার বোঝা নিয়েও আজিজ ভাই নিজের ব্যবসা চালিয়ে গেছেন, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন । অনেক ক্ষতির মধ্যেও তিনি মাথা নত করেননি, সংগঠনকে ছাড়েননি। একজন নির্ভেজাল কর্মী বলতে যা বোঝায়, তিনি ঠিক তা-ই।
যে বাবা মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিল না, যে ছেলে বিদেশ যাওয়ার টাকা জোগাড় করতে পারছিল না, যার চিকিৎসা বা এক বেলার খাবারের ব্যবস্থা ছিল না—আজিজ ভাই চেষ্টা করেছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে। কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, নদীর বাধ নির্মাণ,মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, থেকে সব জায়গায় যেকোনো ভালো কাজে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে পাশে থেকেছেন।
আজও তিনি স্বপ্ন দেখেন, ইউনিয়নের মানুষের জন্য কিছু করার। এখনো সেই আগের মতোই মানুষের কথা ভাবেন, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করেন, অসহায় ,গরীব দুঃখী মানুষের কথা চিন্তা করেন , তাদের পাশে দাঁড়ান।
আমার কাছে মনে হয়, আজিজ ভাই এমন একজন মানুষ, যিনি জীবনভর মানুষের পাশে থেকেছেন, কখনো মিথ্যার সাথে আপোষ করেননি ,তাঁর মত একজন নির্ভীক, নির্লোভ প্রতিনিধি আমাদের ইউনিয়নের জন্য অনেক দরকার।
আমরা যারা বাইরে থাকি, দেশের কথা ভাবি, আমাদের জকিগঞ্জের কথা ভাবি, তাদের জন্য আজিজ ভাই একটা আশার নাম। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে বারঠাকুরি ইউনিয়নের হাল ধরবেন তিনি। এটা শুধু আমার চাওয়া নয় এটা বারঠাকুরি ইউনিয়ন-বাসীর বর্তমান স্বপ্ন।
লেখক : সহকারী সেক্রেটারি, প্রত্যাশা ফোরাম, জকিগঞ্জ।